Temporary Social Media

Technology has a way of making time simultaneously important and baffling. Communication technologies from speaking to writing to recording sound and sight disrupt temporality, mixing the past, present, and future in unpredictable new ways.
প্রযুক্তি এমন একটি জিনিস যা সময়কে একইসাথে গুরুত্বপূর্ণ এবং বিভ্রান্তিকর করে তুলতে পারে।
সম্পূর্ণ নতুন, অভাবনীয় উপায়ে অতীত, বর্তমান ও ভবিষ্যতকে মিশিয়ে দেওয়া, কথা বলা থেকে লেখা, শব্দ রেকর্ড করা থেকে সাইট ডিসরাপ্ট টেম্পোরালিটির মতো যোগাযোগ সংক্রান্ত প্রযুক্তি। ই বিশৃঙ্খলামূলক চিরস্থায়ীত্ব হল সোশ্যাল মিডিয়ার আকর্ষণের একটি অংশ, বা এই বিষয়টা নিয়ে আমারও আগ্রহ রয়েছে। বিশেষত এখনও পর্যন্ত সোশ্যাল মিডিয়াকে যেভাবে তৈরি করা হয়েছে, তাতে অদ্ভূতভাবে সময়ের প্রাসঙ্গিকতা গুরুত্ব পেয়েছে: যার মানে হল অধিকাংশ জিনিসকে চিরকালের জন্য রেকর্ড করে রাখার সম্ভাব্য অনিবার্যতা তৈরি করা।
সোশ্যাল মিডিয়া সম্পর্কে আমাদের অধিকাংশের ব্যক্তিগত উপলব্ধি, গবেষণা থেকে অনুমান করা হয় যে আমরা অনলাইনে যা করছি, তা চিরস্থায়ীভাবে থেকে যেতে পারে এবং অনেক ক্ষেত্র সেরকমই ঘটে। আজ আমরা যে ফটো পোস্ট করলাম, সেটা আগামীদিনেও থাকবে। অনেক সময় আমরা এরকম ভাবনা থেকে আনন্দিত হই: যে বেশ কিছুদিন পর এটি নিয়ে আমরা স্মৃতি রোমন্থন করতে পারব। তবে উদ্বেগের ব্যাপার হলো, বর্তমানে আমরা যা করছি, পরে সেটা নিয়ে আমাদের আক্ষেপ তৈরি হতে পারে। সোশ্যাল মিডিয়া কন্টেন্ট মুছে ফেলার ব্যাপারে কিছু গবেষণা রয়েছে- যেমন danah boyd-এর অসাধারণ কাজ "হোয়াইট-ওয়ালিং", যেখানে কিছু সময় পর পর ইউজাররা তাদের কন্টেন্ট মুছে ফেলেন- সোশ্যাল মিডিয়া সম্পর্কে আমাদের অধিকাংশের ধারণা হলো কন্টেন্ট মূলত চিরস্থায়ী। যেমন, রব হর্নিং সঠিকভাবে দেখিয়েছেন যে ক্রমবর্ধমানভাবে ডেটার এবং সোশ্যাল মিডিয়া ডকুমেন্টেশনের মধ্যে জড়িয়ে পড়েছে “সেলফ”, এর কারণ হিসেবে বলা হয়েছে,
এখন থেকে সাবেজেক্টিভিটি সম্পর্কে মৌলিক সত্য হল ব্যাপক নজরদারি। অনলাইন অনুসন্ধানের নিদর্শন হিসাবে কীভাবে সেলফ দেখা যাবে, সেলফ কীভাবে ছিল বা রেকর্ড করা হবে, তা বিবেচনা না করে আত্ম-উপলব্ধি বুঝতে পারা যাবে না।
“রেকর্ড করা” এবং “নিদর্শন” অবশ্যই বর্তমানের যথাযথ টার্ম, পরেরটির মধ্যে প্রথমটি দেখা যায়। তবে নিদর্শনের অবশ্যম্ভাবী ভবিষ্যৎ হিসাবে কী রেকর্ডিংকে সব সময় দেখা হবে? আমাদের কী এই ভাবনাটি এখনও জিইয়ে রাখতে হবে যে সোশ্যাল মিডিয়া কন্টেন্টের প্রাসঙ্গিকতা চিরস্থায়ী? সোশ্যাল মিডিয়া যদি কম ক্ষণস্থায়ী রেকর্ডিং এবং যা কিছু ক্ষণস্থায়ী, তার উপর অধিক গুরুত্ব দেয়, তাহলে কী ঘটে সেটা দেখার ব্যাপারে আমি আগ্রহী। এটি একটি ধ্রুবক "আর্টিফ্যাক্ট" হিসাবেই নিজের সাথে পরিচিত, সম্ভাব্য ভবিষ্যতের হিসাবে বর্তমানের বিষয়ে কম নস্টালজিক এবং বর্তমানের পরিবর্তে বর্তমানের জন্য পরিচয়কে আরো কিছুটা এগিয়ে দেবে।
খুব সহজভাবে বলতে গেলে, সোশ্যাল মিডিয়ার এই আনুমানিক চিরস্থায়ীত্বের ব্যাপারটা নিয়ে আমাদের আর একটু গভীরভাবে কী ভাবা উচিত নয়? সোশ্যাল মিডিয়াকে যদি এমনভাবে তৈরি করা যায়, যেখানে এটির সমস্ত ক্ষেত্রেই ক্ষণস্থায়ীত্বের উপর বেশি গুরুত্ব আরোপ করা হয়, তাহলে কী হবে? চিরস্থায়ীত্ব বড়জোর একটা বিকল্প এবং ক্ষণস্থায়ী ব্যাপারটাকে প্রাথমিক করে তুললে সোশ্যাল মিডিয়া সাইটগুলি কেমন হত?
সোশ্যাল মিডিয়ায় ক্ষণস্থায়ীত্বের উপর আরো বেশি গুরুত্ব আরোপ করার তাৎপর্য সহজেই আমাদের নজর এড়িয়ে যেতে পারে। সোশ্যাল মিডিয়াকে আরো ক্ষণস্থায়ী করে দেওয়ার প্রাথমিক অর্থ হল আমাদের সম্পর্কগুলো অনলাইন নির্ভর করে দেওয়া থেকে ডেটার গোপনীয়তা, কন্টেন্টের মালিকানা, “ভুলে যাওয়ার অধিকার”। এছাড়া এটি সামাজের ভ্রান্ত ধারণা, লজ্জা এবং পরিচয়কেও বদলে দেয়।
‘ভুলে যাওয়ার অধিকারের’, বাইরে মনে রাখার দায়বদ্ধতার ক্রমশ ক্ষয়ে যাওয়ার সম্ভাবনাকে কীভাবে দেখা হবে?
***
বহু বছর পরে অনুসন্ধানের ফলাফলে হাইস্কুল পড়ুয়ার নাম কীভাবে দেখা যাবে বা প্রেসিডেন্সিয়াল নির্বাচনের প্রার্থীরা কীভাবে তাদের অতীতের অনলাইন প্রোফাইলের মোকাবিলা করবেন। প্রকৃতপক্ষে, এই সাধারণ ঘোষণা, "ভাগ্যিস! আমি যখন খুব ছোট ছিলাম তখন আমার সোশ্যাল মিডিয়া ছিল না!" ভবিষ্যতে জন্য কাজ করার সময় আমাদের বর্তমান কত বড় সমস্যায় পড়বে তা বোঝানোর একটি উপায় মাত্র। অধিকাংশ সময় যে মেসেজ দেওয়ার চেষ্টা করা হয়, তা হলো, আমরা যা কিছু করছি, তা নিয়ে সব সময় লজ্জা পাওয়া উচিত, আমরা এখন যা করছি, ভবিষ্যতে তার জন্য বদনাম হবে।
চিরস্থায়ী মিডিয়া থেকে যে ক্ষতি হয়, সেটা স্বীকার করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ- এবং এই ক্ষতি সর্বত্র সমানভাবে দেখা যায় না। যাদের পরিচয় বাঁধাধরা গতের বাইরে বা যারা সামাজিক দিক থেকে নিরাপত্তাহীনতায় ভোগেন, তাদের ঝুঁকি বেশি। বদনাম বা গুজবের কারণে অতীতের ডেটা তাদের জন্য সমস্যা তৈরি করতে পারে। সোশ্যাল মিডিয়া কোম্পানিগুলি যখন প্রাইভেসি সংক্রান্ত ভুল করে, তখন সরল, শ্বেত চামড়ার এবং পুরুষ নয়, এমন লোকজনের সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়। ঠিক এই কারণেই এর মতো জিনিসের ভুলে যাওয়া তাৎপর্যপূর্ণ ব্যাপার।
তবে এখানে একটা চিন্তার ব্যাপার আছে: ক্ষণস্থায়ী সোশ্যাল মিডিয়ার সম্ভাব্য সুবিধাগুলি সম্পর্কে বলার সময় আমাদের সতর্ক থাকা উচিত, কারণ আপনার অতীতের নেতিবাচক দিকগুলি লুকিয়ে রাখতে হয়। ঠিক যেমনটা আমি আগে বলেছি,
আমরা যখন আমাদের নিজস্ব বিব্রতকর অতীতের রেকর্ড না পেয়ে হাঁফ ছেড়ে বাঁচি, এটি আমরা সময়ের সাথে সাথে কিভাবে পরিবর্তিত হয়েছি তার একটি দলিল, আমরা সমানভাবে সাংস্কৃতিক রীতিটি উদযাপন করি যা পরিপূর্ণতা, সাধারণীকরণ এবং অপরিবর্তনীয় আচরণ প্রত্যাশা করে।। আরো বেশি লোক যদি পূর্বের পরিচয় আরো গর্বের সাথে প্রকাশ করলে কী হবে? আমরা পরিচয়ের ধারাবাহিকতার আদর্শটি নষ্ট করতে পারি, একটি আদর্শ যে কেউ যাই হোক না কেন ধরে রাখে এবং নিজের স্বার্থে পরিবর্তন ও বিকাশকে আকড়ে রাখতে পারে।। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের জনপ্রিয়তা সম্ভবত আরো বেশি লোককে এমন বাস্তবতার মুখোমুখি হতে বাধ্য করবে যেখানে পরিচয় এবং নির্দ্বিধায় সুসংগত নয় এবং হতে পারবে না।
কোনো ব্যক্তির অতীতের নেতিবাচক দিক আড়াল করার মাধ্যমে ডেটা মুছে ফেলার কাজ অনেক সময় ডিজিটাল আবর্জনার মতো বদনামকে আরো বাড়িয়ে দিতে পারে, সেক্ষেত্রে দৃষ্টিভঙ্গি হল মানুষ হওয়া এবং বদলে যাওয়াটা লজ্জার ব্যাপার। অতীতে আমাদের যতই গুরুতর ভুলভ্রান্তি থাকুক, সেটাকে স্বীকার করে নেওয়াটা আমাদের নথিবদ্ধ অতীতের ব্যাপারে একটি ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি হতে পারে। পরিবর্তন কোনো ত্রুটি নয়, বরং সেটাকে একটি ইতিবাচক দিক, উন্নতির মাপকাঠি হিসাবে দেখা উচিত; যেটা আমাদের পরিচয়ের একটি বৈশিষ্ট্য, সেটা কোনো ত্রুটি নয়।
***
ক্ষণস্থায়ী সোশ্যাল মিডিয়া সম্পর্কে উপলব্ধি করার আর একটি উপায় হতে পারে অতীতকে না লুকিয়ে বর্তমানকে সাদরে গ্রহণ করে নেওয়া। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে The New Inquiry এর জন্য আমি একটি প্রবন্ধে Snapchat সম্পর্কে লিখতে শুরু করি। সেখানে আমি বলেছিলাম Snapchat-এর মতো ক্ষণস্থায়ী মিডিয়া আমাদের সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার থেকে অতীতে আপনি ভেবেছিলেন ভবিষ্যতে কিছু ঘটবে, বর্তমানের পরিপ্রেক্ষিতে সেটাকে আপন করে নিতে আমাদের প্রাত্যহিক দৃষ্টিভঙ্গি বদলে দেয়। আমাদের জীবনের নানা মুহূর্তকে নথিবদ্ধ করা কোনো নতুন ব্যাপার নয়, তবে যেভাবে এবং যতটা পরিমাণে এখন হচ্ছে, সেটা আগে দেখা যায়নি: সোশ্যাল মিডিয়া, স্মার্টফোন এবং আমাদের অন্যান্য ডকুমেন্টেশন প্রযুক্তিতে আমাদের জীবন, দুনিয়াকে একটি ফটো, GIF, স্ট্যাটাস আপডেট, চেক-ইন হিসাবে দেখা হয়- যেটাকে আর্কাইভে রাখা যায়। এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার হল, আমাদের এই ক্ষণিকের কন্টেন্টগুলির জন্য প্রয়োজনীয় অডিয়েন্স জোগাড় করে সোশ্যাল মিডিয়া।
নিজেদের জীবনের নানা মুহূর্তকে নথিবদ্ধ করতে আমাদের আগ্রহের পিছনে এটা একটা কারণ। কারণ আমরা সোশ্যাল মিডিয়াতে যা করি, তা সাধারণত চিরস্থায়ী, এই 'ডকুমেন্টারি দৃষ্টিভঙ্গিকে' একটি সংবেদনশীল বিষয় হিসাবে দেখা হয় সম্প্রতি ডিজিটাল স্ন্যাপশটে অন্তর্ভুক্ত করা ফক্স-ভিন্টেজ ফটো ফিল্টারকে এমনভাবে দেখানো হয়, যাতে সেটি সময়ের স্রোতে ভেসে বর্তমানে দাঁড়িয়ে 'একটি নস্টালজিয়ায়’ পরিণত হয়। যখন কোনো মুহূর্তকে নিখুঁতভাবে আমরা স্মরণ করতে পারি, তখন এটি ঘটে। চিরস্থায়ী সোশ্যাল মিডিয়ায় বর্তমানকে নথিবদ্ধ করা যায়-এমন একটি বিষয় হিসাবে বিবেচনা করতে উৎসাহ দেওয়া হয়। অন্যদিকে ক্ষণস্থায়ী সোশ্যাল মিডিয়ায় নস্টালজিয়ার স্থান নেই, সেখানে বরং বর্তমানকে নিয়ে বেশি মাতামাতি করা হয়।
এই কারণে স্মৃতির সাথে ক্ষণস্থায়ী সোশ্যাল মিডিয়ার একটি জটিল সম্পর্ক রয়েছে। চিরস্থায়ী সোশ্যাল মিডিয়ার আকর্ষণের একটি দিক হল আমাদের জীবনের একটা বিশাল অংশকে স্মৃতি হিসাবে তুলে ধরা। তবে যত বেশি স্মৃতি আমরা তৈরি করব, তত বেশি মনে থাকবে, এই যুক্তি একটা সময় ভ্রান্ত প্রমাণিত হয়, বিশেষত যখন যথাযথভাবে মুহূর্তগুলি রেকর্ড করা হয়। স্মৃতি অফলোডিং এবং ডেটাবেসে মনে করার মতো কিছু কাজের দরুণ, সেই ছুটি কাটানোর স্মৃচির কথা আমাদের মনে করার দরকার নেই, কারণ এটি আমাদের ক্রমবর্ধমান ডিজিটাল ফটো অ্যালবামে যথাযথভাবে স্টোর করা হয়েছে; এত আর্কাইভ তৈরি হয়েছে যে অনেক সময় আপনি ভুলে যান, কোনটা দেখবেন। বিকল্পভাবে, শুধুমাত্র পোস্টারিং এর জন্য কিছু রেকর্ড না করা মানে তা আরো বেশি মনে রাখা। যেমন, Snapchat কাউন্টডাউন টাইমারে আপনাকে নজর দিতে হবে; যখন আপনি দ্রুত দেখবেন, তখন আসল ছবি দেখতে পাবেন। হয়তো সেই ইমেজটা আপনার আবছা আবছা মনে আছে, তবে এটির মাধ্যমে যে গল্প ফুটে ওঠে বা আপনার অনুভূতিই হয় মূল ব্যাপার। চিরস্থায়ী সোশ্যাল মিডিয়া একটি ফটোর বিশদের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকে, অন্যদিকে ক্ষণস্থায়ী সোশ্যাল মিডিয়াতে এটির আসল অর্থ, নির্যাস এবং আপনার অনুভূতি সর্বাধিক গুরুত্ব পায়।
এইভাবে সোশ্যাল মিডিয়ার সীমাবদ্ধতার একটি বিপরীত দিক পেশ করে ক্ষণস্থায়ী সোশ্যাল মিডিয়া। সাধারণত কোনো বিষয়কে যখন নথিবদ্ধ করা হয়, তখন এটি ধরে নেওয়া যায় যে সেটির মধ্যে আকর্ষণ করার বৈশিষ্ট্য রয়েছে; তবে সেই নথিবদ্ধ করার প্রক্রিয়া এত ব্যাপকভাবে বাড়তে থাকে, যা আজকাল দেখা যায়, তখন গুরুত্ব কমতে থাকে। নিকট ভবিষ্যতে আমরা এই সাম্প্রতিক অতীতের কন্টেন্টের সংখ্যা কমবে, কারণ সেগুলির পরিমাণ অত্যাধিক বেড়ে যাবে। আজকাল সোশ্যাল স্ট্রিমে লগইন করলে এর তুচ্ছতা সম্পর্কে আমাদের একটা ধারণা তৈরি হয়, যেখানে প্রাত্যহিক ঘটনা বা মুহূর্ত এত বেশি পরিমাণে থাকে যে সাইটগুলিতে “ডকুমেন্ট” এবং “গুরুত্বের” মধ্যে তফাৎ পার্থক্য ক্রমশ ম্লান হয়ে যায়। যখন ফটোগ্রাফের সংখ্যা কম ছিল, তখন ফটোগ্রাফিক ডকুমেন্টেশনের মধ্যে কিছুটা হলেও গুরুত্ব ছিল। তবে আজকাল কেউ যখন কোনো বস্তুর সামান্য ফটো তোলেন, তখন সেটা একটা হাস্যকর ব্যাপারে পরিণত হয়। ফটোগ্রাফিক্স ডকুমেন্টেশনের প্রাচুর্য্য তার নিজের প্রতিপক্ষ তৈরি করেছে: একটি মুহূর্তের ছবি তোলা প্রায়শই গুরুত্ব বহন করে, উদাহরণস্বরূপ, আপনার খাবারের ছবি ছড়িয়ে না দেওয়া আপনার সংস্থাপন এবং সংস্থার প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শন করতে পারে। হাইপার ডকুমেন্টেশন, বিশেষত ফটোগ্রাফের ক্ষেত্রে এবং সাধারণত ডকুমেন্টেশন প্রক্রিয়া গুরুত্বহীন ব্যাপারে পরিণত হয়েছে। ডকুমেন্ট জমানো প্রতিরোধের মাধ্যমে ক্ষণস্থায়ী সোশ্যাল মিডিয়াতে সেই অভাববোধের জায়গাটা কিছুটা হলেও তৈরি করা হয়। আমরা নিজেদের জীবনের প্রতিটা মুহূর্তকে একটি প্রামাণ্য রূপ হিসাবে তুলে ধরেছি; সব কিছুই যখন সেভ করা হয়, তখন আর্কিওলজি গুরুত্ব পায় না।
***
ক্ষণস্থায়ী, বর্তমান, এই মুহূর্তটাকে কী আমি বেশি গুরুত্ব দিচ্ছি? কিছুটা হলেও তাই। সোশ্যাল মিডিয়া এখনও নতুন এবং আমি আশা করি এটি আমাদের তথ্যের স্থায়ীত্ব ধরে রাখার সাথে সাথে আরো উন্নত হয়ে উঠবে। একটি সংশোধনমূলক, ক্ষণস্থায়ীত্বের একটি ইনজেকশনের ওনেকদিন থেকেই খুব প্রয়োজন। বর্তমানের মুহূর্তগুলি সব সময় স্মৃতি হয়ে উঠতে পারে না; কখনো কখনো এটিকে স্বাভাবিক স্রোতে হাঁটতে দেওয়া উচিত, বেশ কিছু মুহূর্তকে ডকুমেন্ট করা বা শেয়ার করা উচিত নয়। কিন্তু বাস্তবে তেমনটা দেখা যায় না। প্রতিটা মুহূর্তকে ক্যামেরাবন্দি করে রাখার প্রবণতা বাড়ছে। তার চেয়ে বরং ক্ষণস্থায়ী সোশ্যাল মিডিয়ায় বর্তমানকে এমন একটি বিষয় হিসাবে বিবেচনা করা হয়, যেটিকে পরে একটি মিউজিয়ামের মর্যাদা দেওয়া হবে, যেটি অজ্ঞাত, কী হতে চলেছে সে সম্পর্কে আগাম কোনো ধারণা থাকে না।
তবে এসবের মধ্যে এটা মোটেও বলা হচ্ছে না যে দীর্ঘদিনের এই ডকুমেন্টেশন প্রক্রিয়াকে সরাতে হবে। ক্ষণস্থায়ী সোশ্যাল মিডিয়া কোনোভাবেই দীর্ঘমেয়াদী সোশ্যাল মিডিয়ার বিরোধীতা করে না। ঠিক যেমনটা আমি আগে স্বীকার করেছি, আমাদের অনেকেই অতীতের নানা স্মৃতি বা মুহূর্তকে উপভোগ করি। বাস্তব জীবনের ঘটনাবলীর সময় সারণীর মধ্যে একটা আকর্ষণ রয়েছে। তবে চিরস্থায়ীত্বের বিষয়টি প্রাথমিক এবং স্ট্যান্ডার্ড হতে পারে না। সোশ্যাল মিডিয়ার জটিল বাস্তুতন্ত্রে যেখানে জিনিসগুলি প্রায়শই শেয়ার করা হয় না সেখানেসময়কে একটি পরিবর্তনশীল হিসেবে ধরে নেওয়া যাক।  হ্যাঁ, এটা ঠিক যে বর্তমানের অনেক সাইটে মুছে ফেলার ব্যবস্থা রয়েছে, তবে যদি আরো সোশ্যাল মিডিয়া ক্ষণস্থায়ী হয়ে ওঠে, তাহলে কী হবে?
এই ধরনের প্রশ্নাবলী এবং সমস্যা নিয়ে আমি কাজ করতে ও আরো চিন্তা করতে অন্যদের উৎসাহ দিতে চাই। ওয়েবের মানে এই নয় যে ভুলে যাওয়ার শেষ; তবে বাস্তবে, তেমন চাহিদা তৈরি হয়।
Back To News