2014 AXS Partner Summit Keynote

The following keynote was delivered by Evan Spiegel, CEO of Snapchat, at the AXS Partner Summit on January 25, 2014.
আমার সবসময় মনে হয়েছে, আমাদের ইতিহাসের এই পর্যায়টিকে "পোস্ট-পার্সোনাল কম্পিউটার" বা ব্যক্তিগত কম্পিউটার এর উত্তর যুগ বলাটা খানিকটা অদ্ভূতুড়ে – যখন আসলে এটাকে "আরো বেশি ব্যক্তিগত কম্পিউটারের" যুগ বলা উচিত।
মিস্টার ম্যাকিনটোশ নামে এক ব্যক্তি সম্পর্কে গতকাল আমি একটি দুর্দান্ত গল্প পড়েছি। গতকাল থেকে 30 বছর আগে ম্যাকিনটোশ কম্পিউটার চালু করার সময় স্টিভ জবস সেটার ভিতরে বাস করার জন্য এই লোককেই ডিজাইন করেছিলেন। তিনি মাঝে মাঝেই হাজির হন, একটি পুল-ডাউন মেনুর আড়ালে লুকিয়ে অথবা কোনো আইকনের পিছন থেকে বেরিয়ে এসে – দ্রুতগতিতে এবং এমনই কালেভদ্রে যে আপনি হয়তো প্রায় ভেবেই বসতেন যে তিনি বাস্তব নন।
গতকালের আগে আমি কখনো বুঝতেই পারি নি যে কোনো কম্পিউটারের সাথে একজন মানুষকে বেঁধে ফেলার এই ধারণা স্টিভের কর্মজীবনের একদম গোড়াতেই ঘটেছিল। তবে সেই সময় মিস্টার ম্যাকিনটোশকে বাদ দিয়েই ম্যাকিনটোশ তাদের কম্পিউটার বিক্রি করতে বাধ্য হয়, কেননা তখন কেবল 128 কিলোবাইট স্মৃতিতেই প্রকৌশলীদেরকে আবদ্ধ থাকতে হতো। তবে সত্যিকার অর্থে মানুষকে মেশিনে বাঁধার জন্য স্টিভকে তার কর্মজীবনে খুব বেশি দেরি করতে হয়নি – তিনি জুন 29, 2007 তারিখে আইফোন চালু করেন।
অতীতে প্রযুক্তিগত প্রতিবন্ধকতার ফলে কম্পিউটারকে সাধারণত ভৌত স্থানে পাওয়া যেত: যেমন গাড়ি, বাড়ি, স্কুল ইত্যাদি জায়গায়। আইফোন কম্পিউটারকে একটি অনন্য ফোন নম্বরের সাথে বেঁধে দেয় – সেটা আপনি নিজে।
খুব বেশিদিন আগে নয় যখন যোগাযোগ ছিল স্থান-নির্ভর। সেক্ষেত্রে আমাদের হয় একই ঘরে একসাথে থাকতে হতো, তখন সামনাসামনি কথা বলা যেত, নয়তো আমরা একে অপরের থেকে বহুদূরে, সেই ক্ষেত্রে আপনার অফিসে কল করতে পারতাম বা আপনার বাড়িতে চিঠি পাঠাতে পারতাম। অতি সাম্প্রতিককালেই ব্যক্তিক পরিচয়ের সাথে আমরা গণনা ও যোগাযোগের উদ্দেশ্যে ফোন নম্বর বেঁধে দিতে শুরু করেছি।
এতো এতো কথা বলার উদ্দেশ্য এটা প্রতিষ্ঠা করা যে স্মার্টফোন হলো যন্ত্রের সাথে মানুষকে অভিন্নরূপে সনাক্ত করার জন্য স্টিভের যাত্রার একটি পরিণতি – আর তা আরো ব্যক্তিগত কম্পিউটার যুগের উন্মেষ ঘটায়।
Snapchat এ আমাদের কাজের সাথে অধিকতর-ব্যক্তিগত কম্পিউটারের তিনটি বৈশিষ্ট্য বিশেষভাবে প্রাসঙ্গিক:
1) সর্বত্র ইন্টারনেট
2) দ্রুত + সহজ মাধ্যমের সৃষ্টিকর্ম
3) ক্ষণজীবীতা
2011 সালে আমরা যখন প্রথম Snapchat এর উপর কাজ শুরু করি তখন এটা ছিল শুধুই একটা খেলনা। নানাভাবে এখনো তা-ই আছে – তবে ইমসের ভাষায় বলা যায়, “খেলনা দেখতে যতটা নিরীহ আসলে ততটা নিরীহ নয়। খেলনা ও খেলা গুরুতর ধারণার উপলক্ষণ।”
খেলনা ব্যবহারের কারণটি ব্যাখ্যা করতে হবে না - এটি কেবল আনন্দের জন্য। শেখার এক দুর্দান্ত সুযোগ হল খেলনা ব্যবহার করা।
এবং ছেলেরা, আর আমরা কত কী যে শিখছি।
সর্বত্রই ইন্টারনেট থাকার অর্থ হলো অনলাইন ও অফলাইন পরিসরে দুনিয়াকে ভাগ করার আমাদের পুরানো চিন্তাভাবনা এখন আর প্রাসঙ্গিক নয়। প্রথাগত সামাজিক মাধ্যমের জন্য আবশ্যিক পরিস্থিতিটা ছিল এমন যে আমরা অফলাইন জগতে প্রত্যক্ষ অভিজ্ঞতা অর্জন করব, সেসব অভিজ্ঞতা রেকর্ড করব আর পরে সেই অভিজ্ঞতা পুনরায় তৈরি করতে ও তা নিয়ে চর্চা করতে অনলাইনে পোস্ট করব। উদাহরণস্বরূপ, ছুটি কাটাতে গিয়ে আমি একগুচ্ছ ছবি তুলি, তারপর বাড়ি ফিরে এসে ভালো ভালো ছবি বাছাই করে অনলাইনে পোস্ট করি আর আমার বন্ধুদের সাথে এগুলো নিয়ে কথা বলি।
আত্মপরিচয়ের বিষয়ে প্রথাগত সামাজিক মাধ্যমের এই দৃষ্টিভঙ্গি আসলে বেশ র‍্যাডিকেল: আপনি আদতে আপনার প্রকাশিত অভিজ্ঞতার যোগফল। আরেকভাবে বললে: ছবি প্রকাশিত হয়েছে নয়তো এটা ঘটেইনি।
কিংবা ইনস্টাগ্রামের ক্ষেত্রে: সুন্দর ছবি প্রকাশিত হয়েছে নয়তো এটা তো ঘটেইনি আর আপনি তেমন শান্ত নন।
প্রোফাইলের এই ধারণা অনলাইন ও অফলাইনের দ্বৈত অভিজ্ঞতায় অনেক অর্থপূর্ণ হয়ে উঠেছিল। আমার অনলাইন সত্তার পুনঃনির্মাণ করার জন্য এটা ডিজাইন করা হয়েছিল, যাতে আমি যখন লগইন না করা অবস্থায় থাকি তখনও লোকজন আমার সাথে যোগাযোগ করতে পারে।
Snapchat একেবারে ভিন্নরকম অভিজ্ঞতা প্রদানের জন্য সর্বত্র ইন্টারনেটের উপর নির্ভর করে। Snapchat বলে যে আমরা আসলে যা কিছু বলি বা করি বা অভিজ্ঞতা অর্জন করি বা প্রকাশ করি সেসবের সমষ্টি নয় – আমরা হলাম এসবের ফলাফল। আজ এই মুহূর্তে আমরা যা আমরা আসলে তা-ই।
আমাদেরকে আর "বাস্তব জগত" ক্যাপচার করে বা ধরে রেখে সেটাকে অনলাইনে পুনঃনির্মাণ করতে হবে না – আমরা আদতে একই সময়ে জীবনযাপন ও যোগাযোগ করি।
যোগাযোগ মিডিয়া তৈরির উপর নির্ভর করে এবং যে মিডিয়াটি তৈরি এবং শেয়ার করা হয় তার গতিবেগের দ্বারা সীমাবদ্ধ হয়। আপনার আবেগ, অনুভূতি ও চিন্তাকে কথা, লেখা বা আলোকচিত্রের মতো মিডিয়া কনটেন্টে রূপ দিতে সময়ের প্রয়োজন।
প্রকৃতপক্ষে, মানুষ সর্বদা নিজেকে বোঝার জন্য এবং অন্যের সাথে শেয়ার করে নেওয়ার জন্য মিডিয়া ব্যবহার করে। আমি গেইলিক ব্যবহার না করে অনুবাদে রবার্ট বার্নসের এই কথা বলি, "কোনো শক্তি কি সেই উপহার দিবে, অন্যেরা যেমন আমাদের দেখে তেমনি আমরা দেখব নিজেদের।”
যখন এই উদ্ধৃতি শুনলাম তখন আমি আত্মপ্রতিকৃতির কথা না ভেবে পারলাম না। অথবা আমাদের জন্য সহস্রাব্দ: সেলফি! অন্যেরা যেভাবে আমাদের দেখে তা বুঝতে আত্ম-প্রতিকৃতি সহায়তা করে – আমরা কেমন বোধ করি, কোথায় রয়েছি, এবং কী করছি, তাও তুলে ধরে। এগুলি নিজেকে প্রকাশের সবচেয়ে জনপ্রিয় ধরণ।
অতীতে কোনো প্রাণবন্ত আত্ম-প্রতিকৃতি সম্পন্ন করতে কয়েক সপ্তাহ সময় ও কয়েক লাখ তুলির আঁচড় লেগে যেত। দ্রুত + সহজ মাধ্যমভিত্তিক সৃষ্টিকর্মের দুনিয়ায় সেলফি তো তাৎক্ষণিক ঘটনা। এটা আমাদের সত্তা ও অনুভূতি – তৎক্ষণিকভাবে তুলে ধরে।
আর এতোদিন পর্যন্ত কথোপকথনের সাপেক্ষে আলোকচিত্রের প্রক্রিয়াটি ছিল অনেক ধীরগতির। তবে দ্রুত + সহজ মাধ্যমভিত্তিক সৃষ্টিকর্মের ফলে এখন আমরা ছবির মাধ্যমে যোগাযোগ করতে পারছি। সামাজিক মাধ্যমে এতোদিন আমরা যেমনভাবে এগুলোকে সামনে রেখে যোগাযোগ করতাম এটা তার থেকে ভিন্নতর। যখন মাধ্যম দিয়ে যোগাযোগ শুরু করি তখন আমরা আলোক-উদ্ভাসিত হই। এটা মজাদার।
Snapchat এ যোগাযোগের মৌলিক একক হিসাবে সেলফি অর্থবহ হয়ে উঠে, কারণ এটি আত্ম-প্রকাশ হিসাবে ডিজিটাল মাধ্যম থেকে যোগাযোগ হিসাবে ডিজিটাল মাধ্যম এ রূপান্তর এর নির্দেশ করে।
আর এটা আমাদের আলাপের কেন্দ্রে নিয়ে আসে ক্ষণজীবীতার গুরুত্বের বিষয়টি।
Snapchat কনটেন্ট সরিয়ে ফেলে যাতে সেটা যেমন দেখায় তার উপর নয় বরং যে অনুভূতি জাগায় তার উপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করা হয়। এই ভাবনা রক্ষণশীল, যা র‍্যাডিকেল মৌলিক স্বচ্ছতার প্রতি সহজাত প্রতিক্রিয়া হিসাবে আলাপের শুদ্ধতা ও পরিপ্রেক্ষিত পুনরধিষ্ঠিত করে।
কথোপকথনের ব্যাপারে Snapchat এমন প্রত্যাশা আরোপ করে যা সামনাসামনি কথা বলার সময় আমরা যেমন প্রত্যাশা রাখি তাকেই প্রতিবিম্বিত করে।
Snapchat আসলে তা-ই। কনটেন্টের আশপাশ দিয়ে নয়, কনটেন্টের মাধ্যমে কথা বলা। অপরিচিতদের সাথে নয়, বন্ধুদের সাথে। সত্তা আজ, এই মুহূর্তের সাথে বাঁধা। বিকাশের জায়গা, মানসিক ঝুঁকি, অভিব্যক্তি, ভুল, আপনার নিজের জন্য জায়গা।
অধিকতর ব্যক্তিগত কম্পিউটিংয়ের যুগে আরো ব্যক্তিগত যোগাযোগের জন্য প্রযুক্তিগত অবকাঠামো সরবরাহ করেছে। এই অবিশ্বাস্য রূপান্তরের অংশ হতে পেরে আমরা নিজেদের ভাগ্যবান মনে করি।
Snapchat হৃদয় থেকে তৈরি একটি পণ্য - এই কারণেই আমরা লস অ্যাঞ্জেলেসে আছি। প্রযুক্তি কোম্পানি ও কনটেন্ট কোম্পানির মধ্যকার দ্বন্দ্বের ব্যাপারে আমি প্রায়শই লোকজনের সাথে কথা বলি – আমি দেখেছি যে একটি বড় সমস্যা হলো প্রযুক্তি কোম্পানিগুলো বারংবার চলচ্চিত্র, সংগীত ও টেলিভিশনকে তথ্য হিসাবে গণ্য করে। পরিচালক, প্রযোজক, সংগীতশিল্পী ও অভিনেতারা এদেরকে অনুভূতি হিসাবে, অভিব্যক্তি হিসাবে দেখেন। এগুলো অনুসন্ধান, বাছাই ও দেখার ব্যাপার নয়, বরং অভিজ্ঞতা নেওয়ার ব্যাপার।
Snapchat আলাপের অভিজ্ঞতার উপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করে – তথ্য স্থানান্তরের উপর নয়। আমরা এই কমিউনিটির অংশ হতে পেরে রোমাঞ্চিত।
আজ আমাকে আমন্ত্রণ জানানোর জন্য আপনাদের ধন্যবাদ, আর ধন্যবাদ আমাদের যাত্রার অংশ হওয়ার জন্য। আমাদের টিম আপনাদের সকলকে জানতে বুঝতে আগ্রহী।
Back To News