2014 LA Hacks Keynote

The following keynote was delivered by Evan Spiegel, CEO of Snapchat, during LA Hacks at Pauley Pavilion on April 11, 2014.
নিম্নলিখিত কি-নোটটি Snapchat এর CEO ইভান স্পিগেল কর্তৃক 11 এপ্রিল 2014 তারিখে পাউলি প্যাভিলিয়নে অনুষ্ঠিত LA হ্যাকস এ প্রদান করা হয়।
এই সন্ধ্যায় সময় এবং মনযোগ দেওয়ার জন্য আপনার কাছে আমি অত্যন্ত কৃতজ্ঞ। নতুন কিছু নির্মাণের জন্য এত তরুণ-তরুণীদের এখানে একত্রিত হতে দেখাটা সত্যিই অবিশ্বাস্য ব্যাপার। এতে আমাকে শামিল করায় আমি সত্যিই কৃতজ্ঞ।
লোকজন প্রায়শই আমার কাছে সাফল্যের চাবিকাঠি সম্পর্কে জানতে চান, আর আমি নিজেও সবসময় খানিকটা কৌতুহলী ছিলাম।
তবে মাত্র কয়েকদিন আগেও এর প্রশ্নের কোনো উত্তর জানা ছিল না। সৌভাগ্যবশত, হংকংয়ের এক মন্দিরে একজন প্রবীণ, প্রাজ্ঞ ব্যক্তি আমার হাতের রেখা পড়েছিলেন। 30 বছরে পা দেওয়ার আগেই আমি বিয়ে করব এবং একটি পুত্র সন্তান হবে — এসব কথা বলা ছাড়াও তিনি আমাকে সাফল্যের তিনটি মন্ত্র জানিয়েছিলেন।
সেগুলো হলো:
1. কঠোর পরিশ্রম
2. সামর্থ্য
3. মানুষের সাথে সম্পর্ক
এখানে শুক্রবার রাত দশটায় আপনারা সবাই জড়ো হয়েছেন আগামী 36 ঘন্টা একত্রে কাজ করার উদ্দেশ্য নিয়ে - তাই আপনাদের সামনে কঠোর পরিশ্রম বা সামর্থ্য নিয়ে আমার আর কিছু বলার দরকার আছে বলে মনে করি না। আপনাদের মধ্যে নিঃসন্দেহে সেসব গুণাবলী রয়েছে।
তাই আজ এই রাতে আমি আলোকপাত করব মানুষের সাথে সম্পর্কের উপর, যেই সম্পর্ক বিজনেস কার্ড আদান-প্রদান বা LinkedIn এ একে অপরকে যুক্ত করার মাধ্যমে গড়ে উঠে না, বরং সময়ের সাথে সাথে ধীরে ধীরে, গভীর, আন্তরিক ও প্রাণবন্ত কথোপকথনের মাধ্যমে তৈরি হয়।
ভাবছি আজ এমন একটা বিষয় শেয়ার করব যা আমরা Snapchat এ করে থাকি। এটা শিখেছিলাম আমার হাইস্কুল, ক্রসরোডস, থেকে, আর ওরা এটা ধার করেছিল ওজাই ফাউন্ডেশনের কাছ থেকে। সেই বিষয়টা হলো কাউন্সিল বা পরামর্শসভার অনুশীলন। আপনাদের অনেকের কাছে এটি অবাস্তব মনে হতে পারে, কিন্তু আমাদের কাছে এটি সত্যিই গুরুত্বপূর্ণ। এর অর্থ হলো প্রতি সপ্তাহে একবার প্রায় এক ঘন্টার জন্য টিমের 10 জনের মতো সদস্য একত্রিত হয়ে তারা নিজেরা কী অনুভব করছেন সে ব্যাপারে কথা বলবেন। ঠিক যেমন সাফল্যের তিনটি মন্ত্র আছে, তেমনি পরামর্শসভার জন্য আছে তিনটি নিয়ম। প্রথমটা হলো সবসময় আন্তরিকভাবে কথা বলা, দ্বিতীয়টা হলো অন্যের কথা শোনার ধৈর্য্য, আর তৃতীয়টা হলো পরামর্শসভায় যা কিছু ঘটে তা সেখানেই সীমাবদ্ধ রাখা। আমরা দেখেছি যে কেবলমাত্র আমরা যা অনুভব করি তা প্রকাশ করতে পারার ক্ষেত্রেই নয়, বরং অন্যের অনুভূতি উপলব্ধি করার ক্ষেত্রেও এই বিশেষ মেলবন্ধনটি দারুন কার্যকর।
এক বন্ধু আমাকে বলেছিল যে আপনি কাউকে ভালোবাসেন সেটা তখনই বুঝতে পারবেন যখন আপনি সেসব মানুষের সাথে নিজের গল্প শেয়ার করেন চান, আর এর সাথে আমি এটুকু যোগ করব যে তেমন মানুষের বলা কথাও আপনি সবচেয়ে বেশি শুনতে চাইবেন।
তাই আন্তরিকভাবে কথা বলা বা মনযোগ সহকারে কোনো ব্যক্তির কথা শোনার গুরুত্ব অগ্রাহ্য না করে আমি পরামর্শসভায় ঘটা যাবতীয় বিষয় সেখানেই সীমাবদ্ধ রাখার যে মত রয়েছে সে ব্যাপারে কিছু কথা বলতে চাই। পরামর্শসভায় যে অনুভূতি ব্যক্ত করা হয়, তা জনসমক্ষে প্রকাশ না হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করায় এমন এক ক্ষেত্র তৈরি হয় যা আমাদের কিছুটা অরক্ষিত হওয়ার সুযোগ করে দেয়। এর ফলে সহজে শেয়ার করা যায় আমাদের মনের গহীনে থাকা, সবচেয়ে অনন্য সব চিন্তাভাবনা - সেসব ভাবনা ও অনুভূতি যা অন্য কোনো পরিস্থিতিতে সহজেই বিভ্রান্তি তৈরি করতে পারে। আরও সহজভাবে বলতে গেলে: আমরা পরামর্শসভার গোপনীয়তার প্রতি শ্রদ্ধাশীল।
দুর্ভাগ্যজনকভাবে, গোপনীয়তাকে প্রায়শই রহস্যাবৃত বলে গণ্য করা হয়, যেমনটা নিসেনবম দেখিয়েছেন যে, গোপনীয়তা আসলে প্রেক্ষাপট বোঝার উপর গুরুত্বারোপ করে। কী বলা হচ্ছে তা নয় – বরং কোথায় ও কোন ব্যক্তিকে বলা হচ্ছে। ভিন্ন ভিন্ন প্রেক্ষাপটে বিভিন্ন মানুষের সাথে আমরা নানা কিছু শেয়ার করে নেওয়ার সময় যে আন্তরিক পরিবেশ তৈরি হয়, সেখান থেকে অনেক কিছু শিখতে এবং তা উপভোগ করতে আমাদের সক্ষম করে তোলে এই গোপনীয়তা।
কুণ্ডেরা লিখেছেন, "একান্তে আমরা বন্ধুবান্ধবদের সাথে মুখ-খারাপ করি, অমার্জিত ভাষা ব্যবহার করি; অর্থাৎ আমরা প্রকাশ্যের থেকে একান্তে ভিন্নরকম আচরণ করি, এটা তো সবারই সুস্পষ্টভাবে পরিলক্ষিত অভিজ্ঞতা, এটাই ব্যক্তির জীবনের চরম বাস্তবতা; অদ্ভুত ব্যাপার হলো, এই সুস্পষ্ট বিষয়টি অজ্ঞানে বা অগোচরে থেকে যায়, স্বীকার করা হয় না, স্বচ্ছ কাঁচঘরের আবেগপূর্ণ স্বপ্ন দ্বারা চিরতরে ঢাকা থাকে, কোনো ব্যক্তি যে এটিকে বাদবাকি সবকিছুর উপরে জায়গা দিবে তা খুব কমই অনুধাবন করা হয়।"
আমেরিকাতে ইন্টারনেট চালু হওয়ার আগে পাবলিক ও প্রাইভেট জীবন সাধারণত আমাদের বাস্তবিক অবস্থানের — আমাদের কর্মস্খল ও বাড়ির — মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকত। যে প্রেক্ষাপটে আমরা বন্ধুবান্ধব ও পরিবার-পরিজনের সাথে যোগাযোগ করতাম তা স্পষ্ট থাকত। কর্মস্থলে আমরা পেশাদার কর্মী ছিলাম আর বাড়িতে আমরা ছিলাম স্বামী, স্ত্রী, পুত্র বা কন্যা।
পাবলিক ও প্রাইভেট অভিব্যক্তির পার্থক্য সেলিব্রিটিদের চেয়ে ভালোভাবে খুব কম মানুষই বুঝতে পারে, সেলিব্রিটিদের পাবলিক ব্যক্তিত্ব তাদের ব্যক্তিগত জীবনের প্রতি বিপুল আগ্রহ সৃষ্টি করতে পারে। যখন কোনো ব্যক্তির গোপনীয়তা ঝুঁকির মুখে পড়ে, যে প্রেক্ষাপটে কোনো ব্যক্তি তার অনুভূতি শেয়ার করে সেটা যখন ভেঙে পড়ে, তখন পাবলিক ও প্রাইভেট ক্ষেত্র আরো স্পষ্টভাবে ফুটে ওঠে।
সম্প্রতি বিমানবন্দরের মধ্য দিয়ে হেঁটে যাওয়ার সময় আমার নজর কাড়ে নিউজউইকের একটি বিশেষ সংখ্যা যেটিতে মেরিলিন মনরোর "লস্ট স্ক্র্যাপবুক" উন্মোচিত করার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়। বাস্তবে সেরকমই ঘটেছিল, এক বন্ধু এবং ফটোগ্রাফারের জন্য তাঁর তৈরি করা একটি স্ক্র্যাপবুক খুঁজে পেয়েছিলেন এক সাংবাদিক।
সেই স্ক্র্যাপবুক সম্পর্কে সাংবাদিক লিখেছেন, "এখানে মেরিলিন তাঁর নিজের স্বাভাবিক রূপে ধরা দিয়েছেন; অবিন্যস্ত চুল এবং তাঁর সম্পর্কে লোকজন কী ভাববে বা তাঁর দিকে তারা কোন দৃষ্টিতে তাকাবে তা নিয়ে তিনি চিন্তিত নন। এসব ছবির কম্পোজিশনের দিকে তিনি নজর দিচ্ছেন না। ছবিতে তিনি কী করছেন তার দিকেই তিনি তাকিয়ে রয়েছেন। তিনি মজা করতে পছন্দ করেন।”
পৃষ্ঠাগুলো বর্ণিল, সেখানে ছবির পাশে মেরিলিনের চিন্তাভাবনা ও অনুভূতিগুলো অবাধে বিচরণ করছে। প্রোডাকশনের জিনিসপত্র ঘেরা পরিবেশে গোসলের পোশাক পরা অবস্থায় তোলা এক ছবির পাশে তিনি লিখেছেন, “কাজ করার সময় মেয়েদের কোনো গোপনীয়তা থাকে না।” মেরিলিন ভেবেছেন যে তাঁর স্ক্র্যাপবুক হলো তাঁর ফটোগ্রাফার বন্ধুর সাথে শেয়ার করার জন্য একটি প্রাইভেট ক্ষেত্র। এটা তাঁর পাবলিক ব্যক্তিত্বের অংশ নয়।
ইন্টারনেট আমাদের অনুভূতির স্ক্র্যাপবুক তৈরি করতে উৎসাহিত করে, তবে সেটা এমন স্ক্র্যাপবুক যা শেয়ার করা হয় আমাদের বন্ধুবান্ধব, বা আমাদের "দর্শক-শ্রোতাদের", উপভোগের জন্য, সম্ভাব্য প্রেক্ষাপট ছাড়াই। আমাদের অনুভূতিগুলো তথ্যরূপে অভিব্যক্ত হয় – এগুলো আমাদের অস্তিত্বকে শ্রেণিবদ্ধকরণ ও জানা বৈশিষ্ট্যের ছাঁচে ফেলে প্রোফাইলিং করার জন্য ব্যবহৃত হয়।
ইন্টারনেটে আমরা তথ্যাবলীকে জনপ্রিয়তা অনুযায়ী সজ্জিত করে তথ্যের অকাট্যতা নির্ধারণের প্রয়াস পাই। যদি কোনো একটি ওয়েবসাইটের রেফারেন্স বহু ওয়েবসাইট থেকে দেওয়া হয়, সেক্ষেত্রে সাধারণভাবে সেই ওয়েবসাইট আরো মূল্যবান বা সঠিক বলে গণ্য করা হয়। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশিত অনুভূতিকে সংখ্যা হিসাবে পরিমাপ করা হয়, তার অকাট্যতা নির্ধারণ করা হয় এবং একইরকমভাবে বিতরণ করা হয়। জনপ্রিয় অভিব্যক্তি সবচেয়ে মূল্যবান অভিব্যক্তি হয়ে ওঠে।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের ব্যবসা আমাদের ব্যক্তিগত সম্পর্কের মধ্যে পুঁজিবাদের এক আগ্রাসী বিস্তারকে তুলে ধরে। আমাদের কাছে প্রত্যাশা করা হয় যেন আমরা নিজ বন্ধুদের জন্য পারফর্ম করি, তারা যা পছন্দ করবে তেমন জিনিস বানাই, “ব্যক্তিগত ব্র্যান্ড” তৈরিতে সচেষ্ট থাকি আর নানা ব্র্যান্ড আমাদের এই শিক্ষা দেয় যে বিশ্বাসযোগ্যতা হলো ধারাবাহিকতার ফল। আমাদের “প্রকৃত সত্তাকে” অবশ্যই সম্মান জানাতে হবে এবং আমাদের সবার কাছে অনুরূপ সত্তা নিয়ে হাজির হতে হবে, নয়তো নিন্দিত হওয়ার ঝুঁকি থেকে যাবে।
তবে মানবিকতা সত্যি অথবা মিথ্যে হতে পারে না। আমাদের মধ্যে অজস্র দ্বন্দ্ব রয়েছে এবং আমরা বদলাই। এটাই মানবজীবনের মজাদার দিক। আমরা ব্র্যান্ড নই; খুব সহজভাবে বললে এটা আমাদের স্বভাবে নাই।
প্রযুক্তি স্বচ্ছ কাঁচের ঘরের মিথকে বাঁচিয়ে রেখেছে, আর এমন এক সংস্কৃতি তৈরি করেছে যা সূক্ষ্মচিন্তার চেয়ে জনপ্রিয় মতামতকে অধিক গুরুত্ব দেয়। আমরা সবাই ধরে নিয়েছি যে বেশি তথ্য মানেই বেশি জ্ঞান। আর আমরা এমন এক সময়ে বাস করছি যখন, রোজেন এর বর্ণনানুসারে, “নিজ বন্ধুবান্ধব ও সহকর্মীদের কাছে প্রকাশ করা একান্ত ব্যক্তিগত কোনো তথ্য অপেক্ষাকৃত কম সহানুভূতিশীল দর্শক-শ্রোতার কাছে ভুলভাবে উপস্থাপিত হতে পারে।”
প্রত্যেকবার যখনই আমরা নিজের মনের কথা ব্যক্ত করি, আমরা এটা জেনেই তা করি যে আমরা যা বলব তা-ই চিরকালের জন্য সর্বজনবিদিত হতে পারে। আমাদেরকে এমনভাবে নিজেদের ভাব প্রকাশের জন্য উৎসাহিত করা হয় যাতে সম্ভাব্য সর্বোচ্চ সংখ্যক দর্শক-শ্রোতার কাছে তা গ্রহণযোগ্য হয়। গ্রহণযোগ্য হওয়ার তাগিদের কাছে আমরা নিজেদের স্বতন্ত্রতা হারিয়ে ফেলি।
আমার চিন্তা হলো আমরা এমন একটা প্রজন্ম গড়ে তুলেছি যারা বিশ্বাস করে যে যাদের অনুসরণকারী বেশি তারাই সফল নেতা। আমি বিশ্বাস করি যে শ্রেষ্ঠ নেতা হলেন তারাই যারা কোনো আদর্শের পক্ষে দাঁড়ান, যাদের একটা দৃষ্টিভঙ্গি থাকে। আর সেই দৃষ্টিভঙ্গি অবশ্যই গড়ে তুলতে হবে, একা একা নয়, বরং সঙ্গোপনে, অন্যথায় তা জনসমর্থনের সন্ধানে পথভ্রষ্ট হওয়ার ঝুঁকি থাকে।
উৎসাহ পেতে অনেক সময় আমি সরবনে বলা রুজবেল্টের এই কথামালার উপর নির্ভর করেছি, তিনি বলেছিলেন, “সমালোচকেরা গুরুত্বপূর্ণ নয়; তিনিও নন যিনি বলেন কীভাবে শক্তিশালী মানুষও হোঁচট খান, বা যিনি কাজ করেন তিনি কোনো কাজ আরো ভালো করে করতে পারতেন। কৃতিত্ব সেই ব্যক্তির প্রাপ্য যিনি প্রকৃতপক্ষে ময়দানে আছেন, যার মুখমণ্ডলে লেপ্টে আছে ধুলাবালি, ঘাম ও রক্ত; যিনি বীর বিক্রমে চেষ্টা চালিয়ে যান; যিনি ভুল করেন, বারবার ব্যর্থ হন, কারণ ভুল ও সীমাবদ্ধতা ছাড়া কোনো চেষ্টা হয় না; কিন্তু যিনি কাজগুলো করার জন্য প্রকৃত অর্থে চেষ্টা করেন; যিনি প্রবল উৎসাহ, গভীর নিষ্ঠার বিষয়টি জানেন; যিনি নিজেকে কোনো মূল্যবান কাজে নিয়োজিত রাখেন; যিনি জানেন সবকিছু ভালোভাবে ঘটলে চূড়ান্ত পর্যায়ে উচ্চ সফলতার জয় ঘটবে, এবং ব্যর্থ হলে নিদেনপক্ষে দুঃসাহস দেখিয়ে ব্যর্থ হবেন, যাতে তাঁর অবস্থান সেসব শীতল ও ভিতু লোকেদের মাঝে কখনই না হয়, যারা জীবনে জয় ও পরাজয় কোনোটার স্বাদ পাননি।"
আমরা একটি সামজ গড়ে তুলেছি যেখানে হরহামেশা দেখা যায় মানুষেরা ময়দানে নেমে নিজেদের জীবনের জন্য লড়ছেন না, তাদের পরিবারের জন্যও নয়, এমনকী তাদের দৃষ্টিভঙ্গির জন্যও নয় – বরং দর্শকের জন্য এবং হাততালি পাওয়ার জন্য লড়ে চলেছেন। আর আমরা, দর্শকেরা, যারা ময়দানে বসে থেকে মজা নিচ্ছি, খানা-পিনা করছি – আমাদের সবকিছু তৃপ্ত হচ্ছে – কিন্তু আমরা কি সুখী?
কুন্ডেরা লিখেছেন যে, “অন্য কারো ব্যক্তিগত জীবনের তথ্য প্রকাশ করা প্রথায় ও নিয়মে পরিণত হলে, আমরা এমন একটা সময়ে প্রবেশ করব যখন সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হয়ে দাঁড়ায় ব্যক্তির বেঁচে থাকা অথবা গায়েব হয়ে যাওয়া।”
আমি মনে করি যে সেই সময়টা এখনই।
প্রেসিডেন্ট কেনেডি যেদিন খুন হন সেদিন তাঁর যে বক্তৃতা দেওয়ার কথা ছিল সেটার শেষ অনুচ্ছেদের কিছু কথা উদ্ধৃত করে আপনাদের থেকে আমি বিদায় নেব। সেই দিন কেনেডি যুদ্ধপরিস্থিতির মধ্যে তাঁর বক্তৃতাটি প্রদান করতেন। আজ এই রাতে যখন আমরা ব্যক্তির ধ্বংস ঠেকানোর লড়াইয়ের মুখোমুখি, সেই সময় আপনাদের আমি এটা শোনার অনুরোধ করব।
“আমরা, এই দেশে, এই প্রজন্মে,বিশ্ব মুক্তির দেওয়ালরক্ষী; এটা যতটা না আমাদের বেছে — নেওয়া, তার চেয়ে বরং — কপালের জেরে। সেই কারণে আমরা প্রত্যাশা করি যেন আমরা আমাদের সামর্থ্য ও দায়িত্বের যোগ্য হতে পারি, প্রজ্ঞা ও সংযমের অনুশীলন করতে পারি, এবং আমাদের সময়ে ও চিরকালের জন্য “বিশ্বে শান্তি, মানুষের কল্যাণে” প্রাচীন রূপকল্প অর্জন করতে পারি। সেটাই সবসময় আমাদের লক্ষ্য হতে হবে, আর আমাদের লক্ষ্যের প্রতি নিষ্ঠার মধ্যেই সর্বদা আমাদের শক্তি থাকতে হবে। ঠিক যেমন বহুকাল আগে লেখা হয়েছিল: “যদি প্রভু স্বয়ং শহরের নজরদারি না করেন, তাহলে রক্ষী বৃথাই তার সময় নষ্ট করছে।”
আমরা এখানে জড়ো হয়েছি এই বদনাম ঘোচাতে যে হ্যাকিং মানে মূলত সেসব জিনিস ফাঁস করে দেওয়া যা অন্যরা চান না প্রকাশ্যে আসুক। আপনাদের সবাইকে আমি চ্যালেঞ্জ করছি যে এই উইকএন্ডে, এই গুরুত্বপূর্ণ সময়ে, এমন একটি পরিসর তৈরি করুন, যেটি অন্যের চিন্তা, অনুভূতি ও স্বপ্নকে সম্মান জানায় ও শ্রদ্ধা করে। শেয়ার করা ও সৃষ্টিশীলতায় স্বস্তি ও আনন্দ পেতে আমরা এখানে এসেছি – আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য অবশ্যই সুচিন্তিতভাবে সব নির্মাণ করতে হবে, যাতে তারা মানুষের সাথে সম্পর্ক ও ব্যক্তিগত অভিব্যক্তির আনন্দ আবিষ্কার করতে পারে, যা গোপনীয়তা দ্বারা সুরক্ষিত।
Back To News