আজ জাতীয় ভোটার নিবন্ধন দিবস - আগামী নভেম্বরে অনুষ্ঠিতব্য নির্বাচনের বেশ আগেভাগে সারা দেশজুড়ে দল-মত নির্বিশেষে ভোটার নিবন্ধনের বিশাল প্রচেষ্টা হিসাবে আজকের এই দিন পালিত হচ্ছে। প্রতিষ্ঠান হিসাবে Snap-এ আমরা সবসময় বিশ্বাস করে এসেছি যে নিজের মতপ্রকাশের অন্যতম শক্তিশালী ধরণ হলো ভোটাধিকার প্রয়োগ এবং আমাদের গণতন্ত্রে অংশগ্রহণ করা।
আমাদের অ্যাপে প্রতিদিন আমরা Snapchat প্রজন্মকে অবিশ্বাস্য আবেগ, সৃজনশীলতা ও উদ্ভাবনী শক্তির প্রকাশ ঘটাতে দেখি, যা এই বিশ্বকে আরো ভালো জায়গা হিসাবে গড়ে তুলতে সহায়তা করছে। যেসব কারণে ঐতিহাসিকভাবে অল্প বয়স্ক ভোটাররা ভোট দিতে যায় না সেসব প্রতিবন্ধকতা দূর করতে, এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে আওয়াজ তুলায় ও তাদের মতামত গুরুত্বসহকারে বিবেচনায় নেওয়ানোর জন্য সক্ষম করে তুলতে আমরা আমাদের যথাসাধ্য সবকিছু করতে চাই।
এজন্য এই মাসের শুরুতে আমরা এমন মোবাইল টুলস নিয়ে এসেছি যা তরুণ ও প্রথমবারের ভোটারদেরকে আমাদের অ্যাপ থেকে সরাসরি ভোটার নিবন্ধন করতে, এবং ভোটের সুযোগ ও বিবেচ্য বিষয় কী কী, ব্যালটে কোন কোন প্রার্থীর নাম রয়েছে সেসব জানতে সহায়তা করে। আর সেই সাথে ভোট দেওয়ার পরিকল্পনা করাতেও সহায়তা মিলে। এই সব টুলসে Snapchat মনোযোগ দিয়েছে যাতে ব্যবহারকারীরা তাদের বন্ধুদের কাছে 1:1 হিসাবে পৌঁছাতে সক্ষম হন, যেমনটা তারা কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে সাধারণত করে থাকেন। এটা অনেকটা বন্ধুকে কল করা বা তার দরজায় কড়া নাড়ার মতো।
আজ আমরা প্রখ্যাত শিল্পী মার্ক ব্র্যাডফোর্ডের সাথে অংশীদারি তৈরি করতে পেরে গর্বিত। আমাদের কমিউনিটিকে ভোটার নিবন্ধনে উৎসাহিত করতে একটি নতুন অগমেন্টেড রিয়েলিটি লেন্স নিয়ে আমরা একসাথে কাজ করছি। যুক্তরাষ্ট্রে ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম ও ম্যাসেঞ্জার একত্রে যে সংখ্যক 13-24 বছর বয়সীদের মধ্যে পৌঁছেছে আমরা সেই বয়সী আরো বেশি সংখ্যক মানুষের কাছে পৌঁছেছি। আর আমাদের ব্যবহারকারীদের বড় একটা অংশই ভোটদানের উপযোগী বয়সের। প্রকৃতপক্ষে, যুক্তরাষ্ট্রের 10 কোটি Snapchatterদের মধ্যে 80% হলো 18+ বয়সী।
এই নতুন লেন্স শিল্পীর নিজস্ব বৈশিষ্ঠ্যমণ্ডিত বিমূর্ত চিত্রশৈলীকে 'ভোট' লেখা সম্বলিত একটি মুখোশের উপর প্রয়োগ করে, এবং এতে এমন একটি বোতাম রয়েছে যা Snapchatterদেরকে সরাসরি আমাদের ভোটার নিবন্ধন টুলে নিয়ে যায়। ব্র্যাডফোর্ড তার বিমূর্ত চিত্রচর্চাকে সমাজ-সম্পৃক্ত নানা উপাদানের সাথে মিলিয়ে নেন। তার বিমূর্ত চিত্রের মাধ্যমে চিন্তাকে কর্মে রূপ দেওয়ার এই লক্ষ্যের উপর তার দৃষ্টি নিবদ্ধ ছিল এই শতাব্দীর প্রথম দশকের গোড়ার দিক থেকেই। ক্যারিয়ারের পুরো সময় জুড়ে ব্র্যাডফোর্ড তার কাজে জাতিগত সুবিচার ও ন্যায্যতা, নারী অধিকার ও পুলিশী বর্বরতা সহ নানা গুরুতর সামাজিক বিষয়াবলী তুলে ধরেছেন। তিনি যে তার অসামাণ্য জোরালো প্রতিভা Snapchat-এ নিয়ে এসেছেন সেজন্য আমরা অত্যন্ত সম্মানিত বোধ করছি।
আমাদের নতুন ভোটার নিবন্ধন টুলগুলোর ব্যাপারে আমাদের কমিউনিটি ইতিমধ্যে দারুন উৎসাহ দেখিয়েছে - সোমবার নাগাদ Snapchat কেবল 2020 সালেই এই অ্যাপের মাধ্যমে 7,50,000 জনেরও বেশি মানুষকে ভোটার হিসাবে নিবন্ধিত হতে সহায়তা করেছে।
ভোটার নিবন্ধনের ক্ষেত্রে Snap-এর জোরালো রেকর্ড রয়েছে - 2018 সালের মধ্যবর্তী নির্বাচনের সময় Snap 4,00,000 এর বেশি Snapchatterকে ভোটার হিসাবে নিবন্ধিত হতে সহায়তা করে আর এভাবে নিবন্ধিতদের মধ্যে 57% আসলেই ভোট দিয়েছিলেন। এই দফায় তারা যাতে ভোট দিতে যায় সেজন্য ভোটার হিসাবে নিবন্ধিত ব্যবহারকারীদেরকে Snapchat তাদের অঙ্গরাজ্যে ভোটের গুরুত্বপূর্ণ দিনক্ষণ স্মরণ করিয়ে দিবে; ব্যবহারকারীরা যাতে ভোট দেওয়ার পরিকল্পনা গ্রহণ করেন তা স্মরণ করিয়ে দিয়ে বার্তা পাঠাবে; তাদের ইউজার প্রোফাইলে ভোটার চেকলিস্ট থাকবে এবং তাদের ভোটার নির্দেশিকায় মিলবে নাগরিক অংশীদারদের কাছ থেকে পাওয়া নানা রিসোর্স।