প্রাইডের সক্রিয়তাবাদ ভিত্তিক চেতনা অক্ষুণ্ণ রাখতে Snap ও প্রাইড মিডিয়া জুটি বেঁধেছে।
LGBTQ'এর আওটলেট হতে তারকা পাব্লিশারদেরকে নিয়ে এই পার্টনারশিপে তৈরি দি অ্যাডভোকেট এবং আউট Snapchat-এর সাথে সম্মিলিত প্রয়াসে এবং Snap'এর অগ্মেন্টেড রিয়েলিটির দক্ষতা ও কারিগর কমিউনিটির সহযোগিতায় সব কটি ইউ.এস. স্টেটের সকল জনগনের মধ্য থেকে বহুবিধ, ব্যতিক্রমধর্মী পরিবর্তন সাধনকারী ব্যক্তিদেরকে চিহ্নিত করার উদ্যোগ গ্রহন করেছে।
মননকে ঘিরে ফেলার মত অভিজ্ঞতা দি অ্যাডভোকেট'এর 2020 সংস্করণ "চ্যাম্পিয়ন্স অফ প্রাইড" ফিচারটির সাথে উদ্বোধন করা হচ্ছে আজ। LGBTQ + আর BIPOC কমিউনিটির এক্টিভিস্ট, শিল্পী, নির্বাচিত অফিশিয়াল আর আমজনতা - আবাল বৃদ্ধ বনিতার সত্যিকারের পরিবর্তন আনার মত কাজই এর মূল বিষয়।
Snapchatter'রা ভার্চুয়াল আর্ট গ্যালারি ভ্রমণ করতে পারবে, যেখানে তারা প্রতিটি "চ্যাম্পিওন্স অফ প্রাইড" সম্পর্কে জানতে পারবে, যেমন:
"মাইটি" রেবেকা, 13 বছর বয়সী একটি মেয়ে যার মাতৃভূমি নিউ জার্সির পাঠ্যক্রমকে LGBTQ বান্ধব করতে সে সরকারকে উদ্বুদ্ধ করেছে।
কৃষ্ণাঙ্গ এপিস্কোপাল যাজক কিম জ্যাকসন জর্জিয়ার প্রথম স্টেট সিনেটর পদপ্রার্থী
কার্লা বসিটা একজন হিজড়া আদিবাসী মহিলা যিনি বন্দী LGTBQ অভিবাসীদের ছাড়ানোর কাজ করেন।
অগ্মেন্টেড রিয়েলিটির মাধ্যমে সমর্থনে প্রাঞ্জলতা আনতে Snap তাদের কয়েকজন অফিশিয়াল লেন্স কারিগরদের সহায়তায় বানিয়েছে ৫ টি পোর্টাল লেন্স। এর প্রতিটি U.S'এর একেকটি জায়গার প্রতিনিধিত্ব করে, যার ফলে Snapchatter'রা সব "চ্যাম্পিয়ন্স অফ প্রাইড" এর যাত্রা উদযাপন করতে পারবে। প্রতিটি লেন্সই তার কারিগরের দর্শন ও তার এলাকার ছাপ বহন করে। যেমন নর্থ আটলান্টিক লেন্সের ইটের গ্যালারী স্পেস, বা সিরিন্স সাউথ লেন্স এর রাষ্ট্রীয় ফুল আর ক্যাট্টেইল প্ল্যান্ট। কারিগরেরা যে এলাকার লেন্স বানিয়েছেন তাদের উপর সেসব জায়গার ছাপ আছে ও তারা LGBTQ+ কমিউনিটির অংশ বা তাদের বন্ধু।
"চ্যাম্পিয়ন্স অফ প্রাইড" লেন্সগুলো দেখুন এখানে:
"Snapchat-এর মত দিগন্ত প্রসারী প্ল্যাটফর্মে এ বছরের চ্যাম্পিয়ন্স অফ প্রাইডদের উপরে স্পটলাইট ফেলাটা বিশাল সৌভাগ্যের ব্যাপার নয় কি?" বলেন ডেভিড আর্টাভিয়া দি অ্যাডভোকেট এর সহসম্পাদক। এই চ্যাম্পিয়নদের আওয়াজ আরও জোরালো করে তোলার জন্য Snapchat ও তাদের বিবিধ প্রকার LGBTQ+ মানুষে পূর্ণ দলকে আমরা বাহবা জানাই। এই তালিকার প্রত্যেকেই কোন না কোন প্রান্তে কোন না কোন ভাবে জগৎটা বদলে দিয়েছেন। Snapchat-এর অগমেন্টেড রিয়েলিটি শুধু যে তাদের পরিচয় করিয়ে দেওয়ার একটি উপায় তাই না, প্রযুক্তি কিভাবে মানবকল্যাণে ব্যবহার করা যায় তার জলজ্যান্ত উদাহরণও।
"আমি শুধু এমন প্রাইড লেন্সে কাজ করতে চাইনি যা শুধু অতীত নিয়েই পড়ে থাকে, আমি করতে চেয়েছি ভবিষ্যৎকে মহিমান্বিত করে এমন কাজ," বলেছেন ব্রিল গার্সিয়া যিনি প্রাইড প্যাসিফিক ওয়েস্ট লেন্সের নেপথ্যে থাকা লেন্স ক্রিয়েটর। "আশা করি LGBTQ কমিউনিটির সকলকে এই লেন্সগুলো উৎসাহ দিবে। আপনার মত অনন্য মানুষও ব্যবসা, রাজনীতি, শিল্প বা অন্য যেকোন কিছুর স্বপ্ন দেখতে ও পূরণ করতে পারেন এমন উৎসাহ। এই ধরণের বিষয় আমার কাছে গুরুত্ববহ কেননা এই ধরণের সাফল্য সবসময়ে এত সহজে পাওয়া যায় না। আমাদের আগে অনেকে এই পথে হেঁটে পথটির সূত্রপাত করেছেন। এটি হল তাদের সাফল্যের জয়োধ্বনি, আর আপনি কি অর্জন করতে পারেন তার দিক নির্দেশনা।
Lens Studioতে স্রষ্টারা এসব লেন্স বানিয়েছেন, যা হল Snap-এর অগ্মেন্টেড রিয়েলিটি অভিজ্ঞতা বানানোর আর প্রকাশ করার প্ল্যাটফর্ম।